Breaking News
* প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অনস্বীকার্য * দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশের বিকল্প নেই * বড় আক্রমণ নস্যাৎ, রুশ হামলায় ইউক্রেনের ২৫০ সেনা নিহত * গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হলেন আজমত উল্লা * ৯০ এজেন্সিকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শোকজ * বাজেট ডিব্রিফিং সেশনের উদ্বোধন করলেন স্পিকার * সায়েন্সল্যাবে ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বাস ভাঙচুর * বাকশালের আদলে দেশ চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ : জিএম কাদের * বাকশালের আদলে দেশ চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ : জিএম কাদের * মিথ্যাচার বিএনপির একমাত্র সম্পদ: কাদের
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • সর্বাধিক আলোচিত

POOL

আওয়ামী লীগ এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় থাকতে বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আপনি কি তাঁদের সাথে একমত?

Note : জরিপের ফলাফল দেখতে ভোট দিন

খাদিজা বেগম নার্গিসের ছবি নিয়ে বদরুলের কারসাজি!

02-11-2016 | 12:02 pm
গ্রাম বাংলার খবর

বদরুল পুলিশের হাতে আটক থাকলেও সহযোগিদের দিয়ে সে ফটোশপের মাধ্যমে অন্য এক মেয়ের ছবিতে খাদিজার মুখ বসিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলে প্রমাণ করতে চাইছে

সিলেট : সিলেটে কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিস এর ওপর হামলাকারী বদরুল আলম ও তার সহযোগিরা এবার জঘন্য খেলায় মেতেছে। বদরুল পুলিশের হাতে আটক থাকলেও সহযোগিদের দিয়ে সে ফটোশপের মাধ্যমে অন্য এক মেয়ের ছবিতে খাদিজার মুখ বসিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলে প্রমাণ করতে চাইছে।

ধারালো চাপাতির কোপে মারাত্মক আহত খাদিজা বেগম এখনো স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা বলছেন, সুস্থ হতে তার এখনো অনেক সময় লাগবে।

অন্যদিকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বদরুল খাদিজার ওপর হামলার কথা স্বীকার করেছে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে সে জঘন্য পরিকল্পনা করে নিজের পক্ষে সমর্থন টানার চেষ্টা করছে।

আমাদের প্রতিনিধি সালাম এর সঙ্গে খাদিজার বড় ভাই শাহিন আহমদ বলেন, ‘বলতে গেলে দ্বিতীয়বার জন্ম পেয়েছে আমার বোন খাদিজা। অথচ তার ছবি ব্যবহার করে অসৎ খেলায় মেতেছে বদরুল ও তার সহযোগিরা। তারা প্রযুক্তির অপব্যবহার করে আমাদের ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। প্রমাণ করতে চাইছে যে, বদরুলের সঙ্গে খাদিজার সম্পর্ক রয়েছে।’

ছবিতে পরিস্কার দেখা যায়, অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে তোলা ছবিতে শুধু খাদিজার মুখটি বসিয়ে দেওয়া হয়েছে ফটোশপের মাধ্যমে।

শাহিন বলেন, ‘আমার ও খাদিজার বয়স খুবই কাছাকাছি। এ জন্য আমরা প্রায় সব বিষয় নিয়েই নিজেদের মধ্যে আলাপ করতাম। আমরা খুব ভাল বন্ধুর মতো ছিলাম। খাদিজা নবম শ্রেণিতে পড়াকালে আমাকে বলেছিল বদরুল তাকে উত্ত্যক্ত করে। সে সময় গ্রামবাসী বদরুলকে গণধোলাই দিয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, এর পরও সে সুযোগ পেলেই খাদিজাকে উত্ত্যক্ত করতো। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর একদিন খাদিজা বাসায় এসে বিষয়টি সবার সাথে শেয়ার করে। এ জন্য এর পর থেকে প্রতিদিন তার সঙ্গে চাচা আব্দুল কুদ্দুস কলেজে যেতেন। যে দিন ঘটনা ঘটেছিল, সেদিনও চাচা তাকে কলেজে পৌঁছে দিয়েছিলেন। কিন্তু চাচার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকায় তাকে আনতে যেতে পারেননি। খাদিজার বান্ধবির সাথে আসতে বলেছিলেন।

শাহিন বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে দেখছি বদরুলের সাথে তোলা অন্য একটি মেয়ের ছবিতে খাদিজার চেহারা এডিট করে লাগিয়ে ভাইরাল করে দেওয়া হয়েছে। এটি একজন নারীর জন্য অপমানজনক। যে মেয়েটি মৃত্যুর সাথে লড়াই করে বেঁচে ফিরে আসছে তাকে নিয়ে এ ধরণের কাজ খুবই অসম্মানজনকও।

সারা দেশের মানুষ খাদিজার জন্য দোয়া করছেন যেন সে তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়ে ওঠে এবং সবাই বদরুলের শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। অথচ এর মধ্যে কিছু জঘন্য প্রবৃত্তির মানুষ খাদিজার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এদিকে খাদিজা এখন আগের চেয়ে অনেক সুস্থ্য। আগে সে শিখিয়ে দিলে একটি বা দুটি শব্দ বলতে পারতো। এখন সে মোটামুটি কথা বলতে পারে। তবে অস্পষ্ট। কথা বলতে কষ্টও হচ্ছে। তবে সবাইকে সে চিনতে পারছে।

বদরুলের বিরুদ্ধে পুলিশ এখনও চার্জশীট আদালতে জমা দেয়নি অভিযোগ করে খাদিজার বাবা বলেন, গত ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সিলেট শাহপরান থানার এসআই হারুন-অর-রশিদ খাদিজাকে দেখতে স্কয়ারে এসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন পরের সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বদরুলের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে চার্জশিট জমা দিবেন। কিন্তু তিনি আসার দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও আদালতে তিনি চার্জশিট জমা দেননি।


অপরাধ বিশ্লেষকগণ বলেন, দুধের মতো বিশুদ্ধ একটি বিষয়, যেখানে প্রেমের ডাকে সাড়া না দেওয়ায় বদরুল খাদিজাকে কুপিয়েছে। এমনকি বদরুল এ বিষয় স্টেটমেন্টও দিয়েছে যে সে খাদিজাকে উত্যক্ত করতো। কিন্তু খাদিজা তাতে সাড়া দিতো না। তার পরও যারা ছবি এডিট করে একটা অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে এভাবে অপপ্রচার চালায় এ থেকেই তাদের জঘন্য মানসিকতার বিষয়টি পরিষ্কার।

এই ছবিটি নিয়ে যারা প্রযুক্তির অপব্যবহার করছেন তাদের বিরুদ্ধে খাদিজার পরিবার তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করতে পারেন। এ ধারায় অপরাধীদের সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড হবে। এসব কাজ যারা করছেন তারা ঠিক করছেন না। তারা প্রযুক্তির অপব্যবহার করছেন।

কমেন্ট

<<1>>

নাম *

কমেন্ট *

সম্পর্কিত সংবাদ

© ২০১৬ | এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি | www.dainikprithibi.com
ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট - মোঃ রেজাউল ইসলাম রিমন