Note : জরিপের ফলাফল দেখতে ভোট দিন
23-04-2023 | 11:21 pm
পর্যটন
ঢাকা : ঈদুল ফিতরের টানা ছুটিতে ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ব্যস্ত নগরীতে ছুটির আমেজে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া করেননি কর্মব্যস্ত মানুষ। সেই সঙ্গে প্রিয়জনদের নিয়ে খাওয়া দাওয়াসহ ক্যামেরা বন্দি হতেও ভোলেননি কেউ।
রবিবার রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানা, উত্তরার দিয়াবাড়ির নৈসর্গিক সৌন্দর্য, মেট্রোরেল ভ্রমণ, হাতিলঝিলের নয়নাভিরাম দৃশ্য, সবুজের সমারোহ ও পাখির কলতানে মুখর বোটানিক্যাল গার্ডেন, শিশুপার্কগুলোতে নানা বয়সী মানুষের আগমনে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে।
আজ রবিবার রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো সরেজমিনে ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
রাজানীর বাড্ডা থেকে সপরিবারে হাতিলঝিলের ঘুরতে এসেছেন আব্দুল লতিফ শেখ। তিনি বলেন, ‘এই শহরে প্রতিটি দিন যান্ত্রিক জীবনের মতো হয়ে গেছে। কাজ আর যানজটের চাপে কখনও অবসরে পেলেও বাইরে ঘুরতে যেতে পারি না। কিন্তু ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, কোনো ঝামেলা নেই, আবহাওয়াও ভালো, তাই এই সুযোগে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি।’
রবিবার বিকালে হাতিরঝিলে গিয়ে দেখা যায়, ঈদে রাজধানীতে থেকে যাওয়াদের একটা অংশ হাতিরঝিলে ছুটে এসেছেন। হাতিরঝিলের চারপাশজুড়েই রয়েছে ঘুরতে আসা মানুষের উপচেপড়া ভিড়। শিশু, তরুণ-তরুণী, মধ্য বয়স্ক ও বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষেরই দেখা মেলে সেখানে। এমন মনোরম পরিবেশে কেউ ঘুরে বেড়ান, আবার অনেকে বসে প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান। অনেকে ছোট বোটে করে হাতিরঝিলের পানিতে ঘুরে বেড়ান।
কাজীপাড়া থেকে দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে মিরপুরের চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছেন কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখে খুব ভালো লাগছে। আগের থেকে চিড়িয়াখানার পরিবেশ অনেক উন্নত হয়েছে। তবে এতো বড় এরিয়া সবটুকু ঘুরে দেখা কষ্টকর। তারপরেও ঘুরছি। কারণ চিড়িয়াখানায় বাচ্চাদের ঘোরালে বাচ্চারা অনেক কিছু শিখতে পারে। সারাদিন ঘরে থাকার একঘেয়েমিও কেটে যাবে।’
এদিকে নগরবাসীর স্বপ্নের মেট্রো রেল ভ্রমণ করতে দর্শনার্থীতে উপচেপড়া ভিড় ছিল। গতকালও এরকম ভিড় লক্ষ্য করা যায় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে অনেকেই পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছুটে এসেছেন মেট্রোরেলে ভ্রমণসহ ঈদ আনন্দে উপভোগ করতে। উত্তরার উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন এবং আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রেলস্টেশনের গেট খোলার আগে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভিড় জমিয়েছেন বিভিন্ন বয়সের উৎসাহী রেলযাত্রীরা। এদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলে চরবেন, সে কারণে তাদের মনের আনন্দটা ছিল একটু বেশি। স্বপ্নের মেট্রোরেলে চরতে চলছিল নানা আলোচনা। দেশের প্রথম এই আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় তারা মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াতে পেরে খুব খুশি। অনেক যাত্রী মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে পেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঈদের শুভেচ্ছাসহ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
গাজীপুর থেকে প্রথমবারের মতো পরিবার পরিজন নিয়ে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে এসেছেন আতাউর রহমান। মেট্রোরেল নিয়ে তাদের মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন। পরিবারের সদস্যরা বলেন, মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর থেকে শুধু টিভিতে দেখে আসছি, কিন্তু আসা হয়নি। আজ মেট্রোরেলে চরতে পেরে ভালো লেগেছে। মেট্রোরেল আসলেই অনেক সুন্দর, পরিস্কার ও আধুনিক। এ জন্য সরকারকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।