Note : জরিপের ফলাফল দেখতে ভোট দিন
21-05-2023 | 02:06 pm
অন্যান্য
ঢাকা: চাকরি স্থায়ীকরণ এবং কোম্পানির মুনাফার অংশ আনুপাতিক হারে প্রদানের দাবি জানিয়েছে শেভরন বাংলাদেশ ব্লকস থার্টিন অ্যান্ড ফরটিন লিমিটেডের শ্রমিকরা।
রোববার (২১ মে) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুসফেক উস সালেহীন খাঁন বলেন, শেভরন কোম্পানিতে চাকরির বয়স ১২ থেকে ২৪ বছর। এখানকার অনেক কর্মী দীর্ঘ সময় কাজ করেও চাকরিতে স্থায়ী হননি এবং সংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধা পাননি।
তিনি বলেন, শেভরন ২০০৫ সালে বাংলাদেশে আসে। তখনকার শ্রম আইনের বিধানমতে তিন থেকে ছয় মাস চাকরি করার পর আমরা চাকরিতে স্থায়ী হই। তখন শেভরন কর্তৃপক্ষ আমাদের অস্থায়ী নিয়োগপথ, পরিচয়পত্র ও কাজের উপকরণ দেয়। কিন্তু আইন অনুযায়ী আজ পর্যন্ত আমাদের স্থায়ী নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। সমস্যা সমাধানের জন্য ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪০০ শ্রমিক শ্রম আদালতে পৃথক পৃথকভাবে মামলা করে। সে মামলা এখনো বিচারাধীন। শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী- মামলা চলাকালীন সময়ে বিরোধে যুক্ত কোনো শ্রমিকের চাকরির শর্তাবলিতে কোনো পরিবর্তন না আনা গেলেও সে বিধান লঙ্ঘন করে শেভরন সম্প্রতি ১৩০ জন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করেছে। শ্রম আইনের বিধান না মেনে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে কথিত এক ঠিকাদারের মাধ্যমে শ্রমিকদের টার্মিনেট করা হয়।
বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের এসব ভোগান্তির পেছনে রয়েছে কিছু বিদেশি ও দেশীয় কর্মকর্তা-সুপারভাইজার। তারা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাদার কোম্পানি বানিয়ে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যখন শেভরনের চাকরিতে যোগদান করি তখন কোনো ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগের আইনি বিধান ছিল না। কিন্তু ২০১৫ সালে শেভরন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের বিধান তৈরি করেছে, যা কেবল সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এছাড়া শেভরন আইন অমান্য করেও সেন্ট্রি সিকিউরিটি সার্ভিস ও প্রপার্টি কেয়ার বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামক দুটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে এক অবৈধ চুক্তি করে। আমাদেরকে সে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক বানানোর অপচেষ্টা করছে। যার কোনো আইনগত বৈধতা ও কার্যকারিতা নেই।
আমাদের দাবি, চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের স্বপদে পুনর্বহাল, প্রথম যোগদানের তারিখ বিবেচনায় শেভরনের স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি, নিয়োগপত্র প্রদান এবং কোম্পানির মুনাফার অংশ প্রদান করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শেভরনের সিলেট, মৌলভীবাজার ও বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে কর্মরত বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীরা।