Breaking News
* কোনো দলকে উদ্দেশ্য করে মার্কিন ভিসা নীতি নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী * ৫২ বছরে আমাদের অর্জন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আর ভিসানীতি : দুদু * ইথিওপিয়াকে বাংলা‌দে‌শের স‌ঙ্গে সরাসরি বিমান চালুর প্রস্তাব * খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার কোনো আবেদন আসেনি : আইনমন্ত্রী * দুবাইয়ে দাঁড়িয়ে শিল্পবান্ধব বাংলার ছবি আঁকলেন মুখ্যমন্ত্রী * ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র * যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হতে পারে সিগারেট * রুপার্ট মারডকের ৭ দশকের রাজত্বের অবসান * শীতের আগেই রাশিয়ার ‘জ্বালানি-সন্ত্রাস’ শুরু করেছে: ইউক্রেন * যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়া কিংবা ঘাবড়ানোর কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • সর্বাধিক আলোচিত
কোনো দলকে উদ্দেশ্য করে মার্কিন ভিসা নীতি নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আড়াইহাজারে গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ নারীর মৃত্যু ৫২ বছরে আমাদের অর্জন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আর ভিসানীতি : দুদু শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হতে হবে ইথিওপিয়াকে বাংলা‌দে‌শের স‌ঙ্গে সরাসরি বিমান চালুর প্রস্তাব কোটি টাকার সম্পদে স্ত্রীসহ ফাঁসছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তা নজরুল খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার কোনো আবেদন আসেনি : আইনমন্ত্রী দুবাইয়ে দাঁড়িয়ে শিল্পবান্ধব বাংলার ছবি আঁকলেন মুখ্যমন্ত্রী ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হতে পারে সিগারেট

POOL

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ঐতিহ্যগতভাবে গণতন্ত্রবিরোধী ও ষড়যন্ত্রনির্ভর রাজনৈতিক দল। আপনি কি তাঁর সাথে একমত?

Note : জরিপের ফলাফল দেখতে ভোট দিন

সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছরপূর্তি আজ

17-08-2023 | 11:16 am
অপরাধ

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) নামে একটি জঙ্গি সংগঠন পরিকল্পিতভাবে দেশের ৬৩ জেলায় একই সময়ে সিরিজ বোমা হামলা চালায়।

ঢাকা: দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছরপূর্তি আজ (বৃহস্পতিবার)। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) নামে একটি জঙ্গি সংগঠন পরিকল্পিতভাবে দেশের ৬৩ জেলায় একই সময়ে সিরিজ বোমা হামলা চালায়। মুন্সীগঞ্জ ছাড়া সব জেলায় প্রায় ৫শ পয়েন্টে বোমা হামলা হয়েছে। এ হামলায় দু’জন নিহত ও অন্তত ১০৪ জন আহত হন।

পুলিশ সদর দপ্তর ও র‌্যাবের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার পরপরই সারাদেশে ১৫৯টি মামলা দায়ের করা হয়। এরমধ্যে ডিএমপিতে ১৮টি, সিএমপিতে ৮টি, আরএমপিতে ৪টি, কেএমপিতে ৩টি, বিএমপিতে ১২টি, এসএমপিতে ১০টি, ঢাকা রেঞ্জে ২৩টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ১১টি, রাজশাহী রেঞ্জে ৭টি, খুলনা রেঞ্জে ২৩টি, বরিশাল রেঞ্জে ৭টি, সিলেট রেঞ্জে ১৬টি, রংপুর রেঞ্জে ৮টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জে ৬টি ও রেলওয়ে রেঞ্জে ৩টি মামলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৪২টি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। বাকি ১৭টি মামলায় ঘটনার সত্যতা থাকলেও আসামি শনাক্ত করতে না পারায় চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ৯৬১ জনকে। ১ হাজার ৭২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

পুলিশ জানায়, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সারাদেশে ১৫৯টি মামলার মধ্যে ৯৪টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এসব মামলায় ৩৩৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এখন ৫৫টি মামলা বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। যার আসামি সংখ্যা হচ্ছে ৩৮৬ জন। এই সিরিজ বোমা হামলার রায় দেওয়া মামলাগুলোর ৩৪৯ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ২৭ জনের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়। এরমধ্যে ৮ জনের ফাঁসি ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।

এসব মামলায় খালাস পেয়েছে ৩৫৮ জন, আর জামিনে রয়েছে ১৩৩ জন আসামি। এছাড়া ঢাকায় বিচারাধীন ৫টি মামলা সাক্ষ্য গ্রহণের শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

ঝালকাঠি জেলার দুই বিচারককে হত্যার জন্য ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ ছয় জঙ্গি নেতা শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি, চিন্তাবিদ আব্দুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ এবং সালাউদ্দিনকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে (২০০১ থেকে ২০০৬) সারাদেশে শক্ত অবস্থান তৈরি করে জঙ্গিরা।

২০০৫ সালের পরবর্তী সময়ে কয়েকটি ধারাবাহিক বোমা হামলায় বিচারক ও আইনজীবীসহ ৩০ জন নিহত হন। আহত হন ৪ শতাধিক। ওই বছরের ৩ অক্টোবরে চট্টগ্রাম, চাঁদপুর এবং লক্ষ্মীপুরের আদালতে জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। এতে তিনজন নিহত এবং বিচারকসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।

এর কয়েকদিন পর সিলেটে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিপ্লব গোস্বামীর ওপর বোমা হামলার ঘটনায় তিনি এবং তার গাড়িচালক আহত হন। ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠিতে বিচারক বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় আত্মঘাতি জঙ্গিরা। এতে নিহত হন ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতের বিচারক জগন্নাথ পাড়ে এবং সোহেল আহম্মদ। এই হামলায় আহত হন অনেক মানুষ।

সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে ২৯ নভেম্বর গাজীপুর বার সমিতির লাইব্রেরি এবং চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে। গাজীপুর বার লাইব্রেরিতে আইনজীবীর পোশাকে প্রবেশ করে আত্মঘাতী এক জঙ্গি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এই হামলায় আইজনজীবীসহ ১০ জন নিহত হন। আত্মঘাতী হামলাকারী জঙ্গিও নিহত হয়।

একই দিন চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে জেএমবির আত্মঘাতী জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানে রাজিব বড়ুয়া নামের এক পুলিশ কনস্টেবল এবং একজন সাধারণ মানুষ নিহত হন। পুলিশসহ প্রায় অর্ধশত আহত হন।

১ ডিসেম্বর গাজীপুর ডিসি অফিসের গেটে আবারও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে নিহত হন গাজীপুরের কৃষি কর্মকর্তা আবুল কাশেম। এই ঘটনায় কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন। ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোণায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নেত্রকোণা শহরের বড় পুকুর পাড় উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর অফিসের সামনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় আত্মঘাতী জঙ্গিরা। সেখানে স্থানীয় উদীচীর দু’নেতাসহ ৮ জন নিহত হন। শতাধিক আহত হন।

কমেন্ট

<<1>>

নাম *

কমেন্ট *

সম্পর্কিত সংবাদ

© ২০১৬ | এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি | www.dainikprithibi.com
ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট - মোঃ রেজাউল ইসলাম রিমন