Note : জরিপের ফলাফল দেখতে ভোট দিন
10-09-2023 | 04:34 pm
অন্যান্য
ঢাকা: বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেছেন, মুনাফালোভী একটি চক্র আলু মজুত করে দাম বৃদ্ধি করছে। এখানে কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের কোনো দায় নেই৷ তবে কারা সিন্ডিকেট করে আলুর দাম বাড়াচ্ছে, সরকার চাইলে আমরা সেসব তথ্য দেব।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলন কক্ষে আলুর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আজাদ চৌধুরী বলেন, কোল্ড স্টোরেজ শেড থেকে আলু বের হয় ১৮ টাকা কেজি দরে। পরে পরিবহন, আড়ৎ ও খুচরা বিক্রেতাদের খরচসহ সব মিলিয়ে এ আলু ভোক্তাপর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩৬ টাকার বেশি বিক্রি হওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে যারা আলু সংরক্ষণ করেছে, তারা মনে করছে আলুর মজুত কম রয়েছে। সেজন্য তারা আলুর দাম বৃদ্ধি করে চলেছে৷ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় কম পরিমাণে আলু সংরক্ষিত রয়েছে৷ তবে সদস্যদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যে আলু সংরক্ষিত রয়েছে, তা দ্বারা ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পর্যাপ্ত আলু থাকবে।
তিনি আরও বলেন, কারা আলুর দাম বৃদ্ধি করছে, কারা সিন্ডিকেট করে আলু মজুত করছে... তাদের তথ্য আমরা বিভিন্ন সংস্থাকে দিয়েছি। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কেও জানিয়েছি। এখন আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আলুর দাম বাড়ায় হিমাগার মালিকদের একতরফা দোষারোপ করা হচ্ছে এটা সঠিক নয়। সরকার আলু মজুতের যে তথ্য দিচ্ছে তা সঠিক নয়। কারণ প্র্যাকটিক্যালি আমরা দেখছি কোল্ড স্টোরেজের ২০ শতাংশ খালি রয়েছে।
কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা ধীরে ধীরে আলু ছাড়ছে। এর ফলে খোলা বাজারে আলুর দাম বাড়ছে। কেন দাম বাড়ছে সেটি সরকারের সংস্থাগুলোকে আমরা বলেছি। এই দাম কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে তা সরকারকে ভেবে-চিনতে করতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা বা হয়রানিমূলকভাবে দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি যে, যারা অতি মুনাফা লাভের জন্য আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।